প্রেমের স্বরলিপিতে
– সুমিত মোদক
বুকের ভিতর রাইকিশোরী,
বুকের ভিতর যমুনা;
বুকের ভিতর মোহনবাঁশি,
মনটা কেবল আনমনা;
বসন্ত বাতাস বয়ে এলে কেবলই মনে পড়ে তোমার কথা;
তোমার নুপুর ধ্বনি …
একটু একটু করে ঝরে পড়ে রাঙা শিমুল,
হলুদ পাতাগুলো;
আর তখনই হয়ে উঠি অজপাড়া-গাঁয়ের গো-রাখাল,
আটপৌরে পুরুষ;
সেদিনের পর থেকে তুমি আর আলপথ ধরে হেঁটে আসো না
এই অনাবাদী জমিটির দিকে;
আলপথে জন্ম নিয়েছে গাঢ় সবুজ ঘাস,
আগাছা;
তবুও তো কোকিল এপার থেকে ওপারে ডেকে যায়;
ডেকে নিতে চায় তার সঙ্গীটিকে;
যার সঙ্গে তার কিছুটা সময় …
প্রেম;
অথচ, আমি তোমাকে সারাটা জীবন ধরে,
ধরে রাখতে চেয়েছি;
পথের দুধারে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি রাঙা ফুল;
এই তো কদিন আগে বৃন্দাবনের মাটি ছুঁয়ে
উঠে এসেছে পদাবলী;
রাগ মধুবন্তী …
এ বসন্ত বাতাসে তোমার জন্য হতে পারি মোহন-বাঁশি, যমুনা নদী …
তোমার জন্য …
সে কারণে তোমাকে খুঁজে নিতে চাই বার বার এই অজপাড়া-গাঁ থেকে,
তোমারই বৃন্দাবনের মাটিতে মাটিতে,
তোমারই প্রেমের স্বরলিপিতে;
সেই যে অভিমান করে চলে গেলে,
আর ফিরেও তাকাওনি পিছনের দিকে;
ফিরেও আসোনি এখানে,
আমার চরাচর ভূমিতে,
আমদের আবেগের দিনগুলির কাছে আগের মতো;
বসন্ত এলে তবুও অপেক্ষা করে থাকি;
আজও অপেক্ষা করে আছি মহাপ্রস্থানের পথে।